মো: আব্দুর রহমান, ফ্রান্স প্রতিনিধি: ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর মাত্র অল্প দিন বাকি, কিন্তু একের পর এক চমক দেখিয়ে আসছেন বিভিন্ন প্রার্থীরা। এইবার নির্বাচনে অংশগ্রহন করছেন ১১ জন প্রার্থী। দুই ধাপে অনুষ্টিত হবে এই নির্বাচন। প্রথম ধাপের নির্বাচন হবে ২৩শে এপ্রিল এবং দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত নির্বাচন হবে ৭ই মে।
২০১৭ সালে অনুষ্টিত হতে চলা ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে প্রথম থেকেই চলছে ব্যাপক নাটকীয়তা। এইবার নাটকে নতুন ক্লাইম্যাক্স হিসাবে যুক্ত হয়েছে কট্টর বামপন্থি ও পরিবেশবাদী হিসাবে পরিচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী জন লুক মেলন্সো। তিনি ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে চলেছেন।
সর্বশেষ প্রকাশিত জরীপে দেখা যাচ্ছে, মেলন্সো নির্বাচনের অন্যতম ফেবারিট লে রিপাবলিকান দলের শক্তিশালী প্রার্থী ফ্রন্সোয়া ফিলোকে ছুঁয়ে ফেলেছেন। দুজনেই ১৯ শতাংশ ভোটারের সমর্থন নিয়ে যৌথভাবে তৃতীয় স্থানে আছেন। গত দু’সপ্তাহের ব্যবধানে মেলন্সো তার জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছেন ৪ পয়েন্ট।
পক্ষান্তরে, সকল জরীপেই শীর্ষে থাকা দুই প্রধান প্রার্থী কট্টর ডানপন্থী মারিন ল্য পেন ও মধ্যপন্থী মেক্রোন বরাবরই উপরের দিকে থাকলেও উভয়েই কিছুটা জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন এই জরীপে।
বর্তমান জরীপ বলছে, মেক্রোনের জনপ্রিয়তা ২৫ পয়েন্ট থেকে কমে ২৩ পয়েন্টে এসেছে,আর মারিন ল্য পেনের জনপ্রিয়তা কমেছে ১ পয়েন্ট। বর্তমানে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে সমান অবস্থানে আছেন এই দুই প্রার্থী। বিশেষজ্ঞদের ধারনা এই দুই প্রার্থীই দ্বিতীয় রাউন্ড লড়তে পারেন। সেক্ষেত্রে মেক্রোন ভাল ব্যবধানে ল্য পেনকে পরাজিত করে এলিজে প্রাসাদের চাবি হাতে নেয়ার সম্ভাবনার কথাই ইঙ্গিত করছে সকল জরীপ। তবে এখনো প্রতি দশ জন ফরাসীর চারজন নিজেদের পছন্দের প্রার্থী বাছাই করেননি। আবার ভোটারদের একটি অংশ তাদের মত পাল্টাতেও পারেন, এই দৃষ্টিকোনে জরীপগুলো ভূল প্রমাণ হয়ে নাটকীয়তা ভিন্ন মোড়ও নিতে পারে বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের।
প্রধান দুই বাম ও ডান জোটের প্রাথমিক নির্বাচনে সম্ভাব্য দুই বিজয়ী প্রার্থীকে পেছেনে ফেলে শেষ পর্যন্ত পেছন থেকে শীর্ষে চলে আসেন অপেক্ষাকৃত পেছনে থাকা দুই প্রার্থী বেনোয়া হামো ও ফ্রন্সোয়া ফিলো। একই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে আসল নির্বাচনেও। ফলে মেলন্সো যেভাবে অগ্রসর হচ্ছে তা অব্যাহত থাকলে তারও সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।
অপরদিকে, ফিলোও এ সপ্তায় কিছুটা অগ্রসর হয়েছেন। শেষ পর্যন্ত ডান ঘর্নার সব ভোট এক বাক্সে পড়লে তাকেও হিসাবের বাইরে রাখা যাবে না। তাই ফ্রান্সের এইবারের নির্বাচন হবে গত নির্বাচনগুলোর তুলনায় সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ। আর এই নাটকীয়তার শেষ দেখতে সবাইকে অপেক্ষা করতে হবে আগামী ৭ই মে পর্যন্ত।
অগ্রদৃষ্টি.কম // এমএসআই